বুধবার, ১৬ Jul ২০২৫, ০২:১২ পূর্বাহ্ন
কেরানীগঞ্জে লকডাউন অমান্য করে ব্যবসা
বাধাঁ দেওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের উপর ক্ষিপ্ত
শামীম আহম্মেদ.
কেরানীগঞ্জে কালিন্দী ইউনিয়নের মাদারিপুর পশ্চিম বরিশুর এলাকায় এক ঘুড়ি ব্যবসায়ী লক ডাউন অমান্য করে দিনভর খোলা রেখেছে ঘুরির দোকান। এতে করে এলাকার কোমলমতি শিশুসহ তরুনরা ভির করেছে উক্ত দোকানে। যা মহামারী করোনার জন্য বিপদ জনক। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হলে কালিন্দী ইউপি চেয়ারম্যন হাজী মোজাম্মেল হোসেন উল্লেখিত দোকানে গিয়ে লক ডাউনের কথা বোঝানোর চেষ্টা করলে দোকানদার নাজিম তার উপর চড়্ওা হয়ে গালিগালাজ করতে থাকে। এ নিয়ে তাৎক্ষনিক সেখানে উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা দেখাদিলে চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন এ বিষয়ে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাকে অবগত করলে থানা পুলিশের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এবিষয় জানতে চাইলে কালিন্দী ইউপি চেয়ারম্যার হাজী মোজাম্মেল জানান,আমার ইউনিয়নটি আস্তে আস্তে ঝুকিপূর্ণ হতে চলছে। এহেন পরিস্থিতিতে সাধারন জনগন যদি প্রয়োজন ব্যতিরিকে অযথাই বাইরে ঘোরাফেরা করতে থাকে কিংবা কোন দোকানপাটে আড্ডা দিতে থাকে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে গড়াবে। এ বিষয়টি নজরে রেখে আমরা সার্বক্ষনিক জনসচেতনতা মূলক প্রচারাভিযান চালিয়ে আসছি। একই সাথে দুস্থ্য ও কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, বৈশি^ক দুর্যোগ করোনা মোকাবেলায় কালিন্দী ইউনিয়নে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। চলমান রয়েছে একের পর এক প্রক্রিয়া। করোনার বিস্তার রোধে দিনরাত কাজ করছেন কালিন্দী ইউনিয়ন আ’লীগ নেতৃবৃন্দ। কালিন্দী ইউনিয়ন বাসিদের করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত রাখতে কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের নির্দেশে আমরা সবাই মিলে কখনও জীবানু নাশক, কখনও মাস্ক বিতরন, কখনও স্যানিটাইজার বিতরন, কখনও বা প্রশাসনের সাথে থেকে নিশ্চিত করা হচ্ছে সামাজিক দুরত্ব বজায়। মোটকথা প্রতিদিনই জনসচেতনতামূলক কাজসহ এলাকাবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণ, বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে অভিযান পরিচালনা এবং দুস্থদের মাঝে বিতরণ করাহচ্ছে খাদ্যসামগ্রী । চেষ্টা করা হচ্ছে ইউনিয়নের সব এলাকা ও পাড়া মহল্লায় সাধারণ মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রিত রাখার । প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া নিয়ম-কানুনগুলো সঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা সেই বিষয়ে বিভিন্ন এলাকার জনসমাগম স্থানে পরিচালনা করা হচ্ছে বিশেষ অভিযান। অনেক ক্ষেত্রে দুস্থদের বাড়ি বাড়ি গিয়েও পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ত্রাণ সহায়তা। এছাড়া বিভিন্ন পয়েন্টে জনসমাবেশ এড়িয়ে জনগণকে নিজ নিজ বাসায় অবস্থানের জন্য উদ্বুদ্ধও করা হচ্ছে। মোটকথা কালিন্দী ইউনিয়নে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দিনরাত কাজ করছেন এ ইউনিয়নের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ। সরকারি সব নির্দেশনা বাস্তবায়নে একেবারে জীবনবাজি রেখেই দিনরাত মাঠে থাকতে হচ্ছে আমাদেরকে। তারপরও যদি এলাকাবাসী আমাদের কথা অমান্য করে সেটা আমাদেও জন্য নিতান্তই দু:খ জনক ঘটনা। আজকের বিষটি তদরূপ একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। আমরা জনপ্রতিনিধি হিসেবে এলাকাবাসীর কেদমত করতে গিয়ে এধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে চাইনা। আমরা সহমত ও সহবস্থানে থেকে জনসেবা করতে চাই। #